“দলীয় ভেতরে কানাঘুষা থাকলেও মাঠপর্যায়ে চোখে পড়ার মতো কর্মতৎপরতা নেই সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণ”
শাহাদাত হোসেন
নোয়াখালী খবর ডিজিটাল ডেস্ক:
নোয়াখালী জেলার রাজনীতিতে বিএনপির ৫ ও ৬ নম্বর আসনে প্রার্থী পরিবর্তন নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা গেলেও, স্থানীয় নেতাকর্মীদের আচরণ,তৎপরতা বা কার্যক্রমে তেমন কোনো দৃশ্যমান উত্তাপ বা পরিবর্তনের ইঙ্গিত চোখে পড়ছে না। গণমাধ্যমকর্মীদের পর্যবেক্ষণেও বিষয়টি এখনো গুঞ্জনের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ।
একাধিক স্থানীয় সূত্র বলছে,কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে নোয়াখালী–৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা ও সদরের একাংশ), এবং নোয়াখালী–৬ (হাতিয়া) আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনও কেবল “শোনা কথা” বা “আভ্যন্তরীণ আলোচনা” তার বাইরে কোনো আনুষ্ঠানিক ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন,“গুঞ্জন আছে, কিন্তু আমরা এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য পাইনি। কেন্দ্র কী করবে, সেটা কেন্দ্রই জানে।”
অন্য এক নেতার নাম না বলার অনিচ্ছুক বলেন, পরিবর্তন হলে অবশ্যই আমরা জানব। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো তৎপরতা,মিটিং,বিক্ষোভ বা অবস্থান কিছুই চোখে পড়েনি।
নোয়াখালীতে কর্মরত সংবাদকর্মীরা বলছেন,
প্রার্থী পরিবর্তন নিয়ে যেসব আলোচনা চলছে তা বেশিরভাগই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেন্দ্রিক ও গুঞ্জন নির্ভর। বাস্তবে মাঠপর্যায়ে কোনো দৃশ্যমান তীব্র প্রতিক্রিয়া, মানববন্ধন, সমাবেশ বা সংগঠিত কর্মসূচি দেখা যায়নি।
এক সাংবাদিক জানান,যদি পরিবর্তন নিয়ে প্রবল অসন্তোষ থাকত, তাহলে সেটা নিশ্চয়ই দৃশ্যমান হতো। কিন্তু আমরা তেমন কিছু দেখিনি।
বিএনপির জেলা নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন। অনেকেই বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় কৌশলগত কারণে কেন্দ্র ‘পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ’ করছে।
সব মিলিয়ে নোয়াখালীর রাজনীতিতে এখনো নীরব উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, আবার নিশ্চিতভাবেও বলা যাচ্ছে না আবার হবে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের স্থির মনোভাব এবং মাঠপর্যায়ে কোনো বড়সড় প্রতিক্রিয়া না থাকায় অনেকেই মনে করছেন,গুঞ্জন থাকলেও আসন দুটিতে শেষ পর্যন্ত হয়তো পরিবর্তন নাও হতে পারে।
নোয়াখালী–(৫ ও ৬)আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা এখনো দৃশ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতা নয়; বরং গণমাধ্যম এবং মাঠপর্যায়ের পর্যবেক্ষণে বিষয়টি বর্তমানে কেবল কানাঘুষা ও সম্ভাবনার জায়গায় অবস্থান করছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক অঙ্গনের অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকবে।

