শাহাদাত হোসেন
নোয়াখালী খবর ডিজিটাল ডেস্ক:
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট ও সদরের একাংশ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া নেতা আবেদের বিরুদ্ধে দলের ভেতরে বিভক্তি ও বিভাজন সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তাঁদের দাবি,মনোনয়ন বঞ্চনার ক্ষোভ থেকে আবেদ সমর্থকদের উসকে দিয়ে সংগঠনের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করছেন, যা দলীয় ঐক্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতা অভিযোগ করে বলেন,মনোনয়ন না পেলে ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ক্ষোভকে পুঁজি করে যদি কেউ সংগঠনের ভিত নড়বড়ে করতে চায়, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। আবেদ ইচ্ছাকৃতভাবেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিভাজন তৈরিতে ভূমিকা রাখছেন।
আরেকজন সিনিয়র নেতা বলেন,এমন সময় যখন দল মাঠে চাপে রয়েছে, তখন অভ্যন্তরীণ বিভক্তি তৈরি করলে লাভবান হবে কেবল প্রতিপক্ষ। আবেদকে এসব অপপ্রচারের দায় নিতে হবে।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দাবি, আবেদের ঘনিষ্ঠ কিছু কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক বৈঠকে দলীয় সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করছেন। এতে নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির প্রচার ও সংগঠন কার্যক্রমে শিথিলতা করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তবে আবেদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়,আবেদ কোনো বিভাজন তৈরি করছেন না। প্রকৃতপক্ষে নেতাকর্মীরা তার জনপ্রিয়তা উপেক্ষা করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এই অন্যায় আচরণের কারণেই অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, আবেদকে উদ্দেশ্য করে “নেতিবাচক প্রচারণা” চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মতে, নোয়াখালী-৫ আসনটি বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব জটিল হলে নির্বাচনী মাঠে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
বিএনপি স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা বলছেন “ইচ্ছাকৃতভাবে সংগঠনকে দুর্বল করার চেষ্টা চালানো”।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ভাষ্যমতে, দলীয় ঐক্য বজায় রাখতে দ্রুত সমন্বয় না হলে দ্বন্দ্ব আরও বিস্তৃত হতে পারে, যা বিএনপির সাংগঠনিক শক্তিকে দুর্বল করবে।

