নিজস্ব প্রতিবেদক |
নোয়াখালীর খবর
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর প্রাইম হসপিটালে হাতের অস্ত্রোপচারের সময় রাবেয়া বেগম (৪৮) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে তার মৃত্যু হয়। রবিবার দুপুরে নিহতের ছেলে মো. রাজন হোসেন এ অভিযোগ সাংবাদিকদের জানান।
লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির শামছুল হুদার স্ত্রী রাবেয়া বেগম দুই মাস আগে নিজ বাড়ির উঠানে পড়ে বাম হাতের কব্জির ওপরে ভেঙে যান। স্থানীয় এক চিকিৎসকের প্লাস্টার খোলার পর দেখা যায় হাড় জোড়া লাগেনি। এরপর মাইজদী প্রাইম হসপিটালের চিকিৎসক ডা. ফরিদুল ইসলাম ৭৫ হাজার টাকায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাত বসানোর পরামর্শ দেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় রাবেয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। একই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় এবং অ্যানেসথেসিয়ান গোলাম হায়দার তাকে অজ্ঞান করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এরপর আর তার জ্ঞান ফেরেনি।
রাজনের অভিযোগ—
“মাকে অজ্ঞান করার এক ঘণ্টা পর আইসিইউতে নেওয়া হয়। তারপর নানা তালবাহানা করে রাত সাড়ে ৩টায় জানায় মা মারা গেছেন। আসলে অজ্ঞান করার কিছু পরই তিনি মারা যান। সকালে আবার বলে অপারেশন-আইসিইউ-অ্যাম্বুলেন্সের খরচ লাগবে না—মরদেহ নিয়ে যান। কখনো বলে হাই প্রেসারে হয়েছে, আবার বলে লো প্রেসার।”
তিনি আরও জানান, রোববার সকালে তার বড় ভাই ও জেঠা হাসপাতালে গিয়ে সমঝোতা করে মরদেহ নিয়ে যান। সেই সমঝোতার বিষয়টি তিনিও জানেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাইম হসপিটালের সিনিয়র এজিএম শিপন শাহ ভুল চিকিৎসার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন—
“অপারেশনের পর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। স্বজনদের বলা হয়েছে মামলা করতে চাইলে করতে পারেন।”
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি বলেন,
“এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। স্বজনরা সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।


