নোয়াখালীর খবর
সাবহেডলাইন: স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ উঠেছিল; এলাকাবাসী সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছে।
বিস্তারিত:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড নতুন পুকুর এলাকায় ১২ বছরের এক শিশু মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ফারুক ওরফে আলসি ফারুক, নতুন পুকুর সংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা।
বিজ্ঞাপন
গতকাল দুপুরে ওই শিশুর অনাপত্তি ও চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ফারুককে হাতে নাতে আটক করে। পরে স্থানীয় ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাকে নিয়ে গ্রাম্য শালিশে বসে। শালিশে তার সাজা হিসেবে ধার্য করা হয় ১০০ বেত্রাঘাত এবং গলায় জুতার মালা পরানো। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এটি তার উপযুক্ত বিচার হয়নি।
একজন স্থানীয় অভিযোগ করে বলেন, “এটা প্রথম অপরাধ নয়। এর আগেও সে বহু অপকর্ম করেছে। এবারও গ্রাম্য সালিশ দিয়ে পার পেয়ে গেল।”
অভিযুক্ত ফারুকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি—
তিনি একসময় নিজের ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে অপকর্মের চেষ্টা করেছিলেন। সেই ঘটনায়ও শালিশ হয়, তবে কার্যকর কোনো শাস্তি হয়নি।
কয়েক বছর আগে তিনি আপন ছোট ভাইকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তবে ব্যর্থ হন। সেই ঘটনারও প্রমাণ রয়েছে তার ভাইয়ের কাছে।
বিজ্ঞাপন
সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, “ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তবে সেসময় যথাযথ প্রমাণ না থাকায় স্থানীয় গণ্যমান্যরা তাকে সাময়িক শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু এবার যেহেতু অপরাধ প্রমাণিত, তাই তার উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
এলাকাবাসীর সর্বসম্মত দাবি, “অপরাধী সে যেই হোক, কোনো ছাড় নেই। শিশু ধর্ষণচেষ্টা একটি জঘন্য অপরাধ, আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
⚖️ প্রচলিত আইনে শাস্তির বিধান
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত):
শিশু বা নারীকে ধর্ষণ করলে — মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড + অর্থদণ্ড।
শিশু ধর্ষণের চেষ্টা করলে — যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড + অর্থদণ্ড।
⚖️ ইসলামী শরিয়ত আইনে শাস্তি
শিশু ধর্ষণের চেষ্টা করলে এটাকে তাজীর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
শাস্তি নির্ধারণ করবেন কাজি/বিচারক। সাধারণত বেত্রাঘাত, কারাদণ্ড, প্রকাশ্যে অপমান বা আর্থিক জরিমানা হতে পারে।
অপরাধী অবিবাহিত হলে → ১০০ চাবুক + নির্বাসন।
ভুক্তভোগী যেহেতু শিশু, তাই শাস্তি আরও কঠোর হতে পারে।
স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন যেন অভিযুক্ত ফারুকের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়। এলাকাবাসীর প্রশ্ন—“বারবার অপরাধ করেও সে কীভাবে পার পেয়ে যায়?”