হিমেল আহাম্মেদ-
নোয়াখালীর খবর-
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিয়ের দাবিতে এক মাদ্রাসাছাত্রী টানা তিন দিন ধরে স্থানীয় এক পল্লীচিকিৎসকের বাড়িতে অনশন করছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের পূর্ববিরবিরী গ্রামে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোছলেহ উদ্দিনের মেয়ে খালেদা আক্তারের সঙ্গে ওই এলাকার পল্লীচিকিৎসক ও ফার্মেসী ব্যবসায়ী নাহেদ উদ্দিনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। খালেদা অভিযোগ করেন, বিয়ের দাবিতে নাহেদের কাছে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি এড়িয়ে যান এবং সম্প্রতি মোবাইল ফোনও বন্ধ করে দেন। পরে বাধ্য হয়ে খালেদা বিয়ের দাবিতে নাহেদের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনশনে থাকা খালেদাকে ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়। খালেদা জানান, “আমাদের বহুদিনের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন পরিবার অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইছে। আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না, প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করব।”
অপরদিকে অভিযুক্ত নাহেদ উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এই মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এলাকার একটি চক্রও এতে জড়িত। যদি সম্পর্কের কোনো প্রমাণ দেখানো হয়, তবে সমাজ যেই শাস্তিই দেবে আমি মেনে নেব।”
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, এ বিষয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বসানো হলেও সম্পর্কের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকায় সমাধান হয়নি। ফলে খালেদা বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে পুলিশ বা উপজেলা প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।