কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীর খবর-
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী, চরফকিরা ও মুছাপুর ইউনিয়নে অবৈধ বালু মহালে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও যৌথ বাহিনী। এ সময় ছোট ফেনী নদী ও বামনীয়া নদী থেকে ৭টি বালুবাহী বাল্কহেড (ট্রলার), ৯টি বালু উঠানোর ড্রেজার মেশিন, ৫টি বালু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত কয়েক লাখ ফুট বালু জব্দ’সহ ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম। অভিযানে সহযোগিতা করেন সেনাবাহিনী, পুলিশসহ যৌথ বাহিনী।
জব্দকৃত কয়েক লাখ ফুট বালুসহ বন্ধ করে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো নিউ মক্কা ট্রেডার্স, সেজান এন্টারপ্রাইজ, মদিনা ট্রেডার্স, নোয়াখালী ট্রেডার্স ও জেএসএস ট্রেডার্স।
বিজ্ঞাপন
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চরএলাহী, চরফকিরা ও মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী ও বামনীয়া নদী পথে প্রতিদিন বালুবাহী অনেকগুলো বাল্কহেড চলাচল করে। অবৈধ এই বাহন চলাচলে প্রশাসন থেকে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেটি তারা অমান্য করে বাল্কহেড চলাচল অব্যাহত রাখে। নদী দিয়ে এ বাল্কহেড চলাচলের কারণে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে নদীর তীরের আশপাশের মানুষের বসতঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের কবলে পড়ে। অতিরিক্ত বাতাসে বালু উড়ে শত শত শিক্ষার্থী ও পথচারী চোখের সমস্যা ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে একাধিকবার মানববন্ধন করেছিল স্থানীয় লোকজন ও একাধিক সামাজিক সংগঠন। বালুবাহী বাল্কহেড (ট্রলার) চলার কারণে সম্প্রতি ঝুঁকিতে পড়েছে চরএলাহী ব্রিজ’সহ আরও একাধিক স্থাপনা।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় বাল্কহেড ও ড্রেজার মেশিন জব্দ’সহ ১৮ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ জনকে ২০ দিন ও অপর ১৭ জনকে ১০ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম অভিযানের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বালু মহালগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ সময় আটক ১৮ জনকে দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় অনুযায়ী কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত বালুবাহী বাল্কহেড, ড্রেজার মেশিন ও জমাকৃত বালু প্রশাসনের জিম্মায় রয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।