কোম্পানিগন্জ প্রতিনিধি-
নোয়াখালীর খবর-
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের ছয় মাস পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের পর তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
চিফ জুডিশিয়াল আদালত সূত্র ও উদ্ধার হওয়া ভিকটিমের মা জোহরা খাতুন জানান, গত ৬ মার্চ সকাল ১০টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর গ্রামের অলি উল্লাহর মেয়ে ও স্থানীয় মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী অনুপমা নাহিয়ান (১৬) বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশে বের হয়। মুছাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি আহসান উল্লাহ জামে মসজিদ সড়কের পানা মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা একই এলাকার বখাটে মো. শাকিব, মো. ছিদ্দিক, খায়রুলসহ অজ্ঞাত কয়েকজন তাকে জোরপূর্বক একটি সিএনজি ট্যাক্সিতে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ভিকটিমের আত্মীয়স্বজন পিছু ধাওয়া করলেও তাদের আটকাতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
পরে তার মা জোহরা খাতুন কোম্পানীগঞ্জ থানায় অপহরণের মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি রেকর্ড করে। এ সময় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার ভিকটিমের আত্মীয়দের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাদের মেয়েকে নিজেরা খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিন মাস পর ৩ মে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ অবশেষে ভিকটিমের মায়ের অভিযোগ আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মো. শাকিব, মো. ছিদ্দিক উল্লাহ, রওশন আরা খুকি, খায়রুল আলমসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা রেকর্ড করে। তবে মামলার পরও ভিকটিমকে উদ্ধার বা আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের তেমন প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়নি।
গত (১ সেপ্টেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিমের আত্মীয়রা খবর পেয়ে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী থেকে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তাকে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুর রাজ্জাক ২২ ধারার জবানবন্দি সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিমের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।