নোয়াখালীতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
নোয়াখালী প্রতিনিধি।।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের জন্য সাঈদা আক্তার পপি (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বসুরহাট জিরো পয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
নিহত পপি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মক্কা নগরের শফি উল্যাহ শিপনের স্ত্রী। তিনি একই গ্রামের ইলিয়াস চুকানি বাড়ির শামসুদ্দিন কাজলের মেয়ে।
ঘটনার বিবরণ:
পরিবারের দাবি অনুযায়ী, গত ২৩ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে পপিকে যৌতুকের দাবিতে রাতভর শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। পরে সকালে হাসপাতালে নেওয়ার নাটক করে মরদেহ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় পুরো পরিবার।
মানববন্ধনে বক্তব্য:
নিহতের মা খাইরুন নাহার, চাচা আব্দুল কাইয়ুব, খালাতো বোন আমেনা বিনতে রহিম অথৈই, চাচাতো বোন উপর্ণা, খালু আব্দুর রহীম মাসুদ, মামা মো. কামাল উদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজন মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন। তারা জানান, সাত বছর আগে পপির বিয়ে হয় শিপনের সঙ্গে। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ ও নির্যাতন সহ্য করছিলেন পপি।
আইনি অগ্রগতি:
নিহতের পরিবার জানায়, কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি, ফলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন।
এ বিষয়ে জানতে নিহতের স্বামী শফি উল্যাহ শিপনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশের বক্তব্য:
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, “মরদেহ সন্দেহজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে শ্বশুরকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”