শাহদাত হোসেন-
নোয়াখালীর খবর-
কোম্পানীগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন দফতরে নতুন ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যোগদান করলে কিছু সাংবাদিকের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা,তোষামোদ কিংবা ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা সম্পর্কে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সাংবাদিক মহলের একাংশের মতে, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে অতিরিক্ত সখ্যতা বা বিশেষ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা দীর্ঘমেয়াদে স্বাধীন সাংবাদিকতার অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে। তাদের দাবি, এ ধরনের আচরণ তথ্য অনুসন্ধান, সমালোচনামূলক প্রতিবেদন ও অনিয়ম প্রকাশের প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতার ঘাটতি তৈরি করে।
রাজনৈতিক অঙ্গনেও—কিছু রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত স্বার্থে সম্পর্ক গভীর করা,সুবিধা নেওয়া ও অফিসিয়াল সুযোগ লাভের প্রবণতা, এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এদিকে কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।যেমন:
[]থানা ও প্রশাসনিক দফতরে দালালী করা।
[]বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা।
[]ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়।
[]বিজ্ঞাপন সংগ্রহের নামে চাপ সৃষ্টি।
উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কাজ–কর্ম বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা—ইত্যাদি।
সিনিয়র সাংবাদিকরা জানান,সত্য, ন্যায় ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখাই সাংবাদিকতার মূল শক্তি। কিছু ব্যক্তির আচরণ পুরো পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে,এটা সবাইকে বুঝতে হবে।
তারা আরও বলেন, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা বজায় থাকলে প্রশাসন, রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের আস্থা অটুট থাকবে; আর সেটিই কোম্পানীগঞ্জের সাংবাদিক সমাজের সবচেয়ে বড় অর্জন।

