অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অপরাধ সাম্রাজ্যের অভিযোগ উত্থাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক
নোয়াখালী খবর ডিজিটাল ডেস্ক:
নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯নং পূর্ব চর মটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সাল বারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে সংবাদ প্রচারের অভিযোগ উঠেছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে—ঘটনার আড়ালে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা স্থানীয় এক অপরাধী চক্রের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সিএনজি চালক পরিচয়ের আড়ালে টিপু নামের এক ব্যক্তি চুরি, ডাকাতি, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইউনিয়নে অসংখ্য অভিযোগ জমা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি—তার প্রভাবে স্থানীয় যুবসমাজের মধ্যে নৈতিক অবক্ষয় বাড়ছে।
চেয়ারম্যান ফয়সাল বারী চৌধুরী জানান,
“টিপু বহুদিন ধরে ইউনিয়নে অপরাধের রাজত্ব চালিয়ে আসছে। দুই বছর আগে সুধারাম মডেল থানায় তার নামে মাদকের মামলা রয়েছে, যার তদন্ত করেছিলেন এসআই মহিন উদ্দিন।”
চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি টিপুর চাচাতো ভাই দেলোয়ার তার বিরুদ্ধে অটোরিকশা চুরির অভিযোগ করলে টিপুকে পরিষদে ডাকা হয়। নোটিশ পাওয়ার পরও তিনি হাজির না হয়ে পাল্টা বলেন—
“আমি সিএনজি চালাই, পরিষদে গেলে ভাড়া দেবে কে?”
গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাকে আনার পর অপরাধ সম্পর্কিত প্রশ্ন করলে টিপু উল্টো জবাব দেয়—
“বিচার করলে আদালত করবে—আপনি কে?”
তার এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত লোকজনের সামনে তাকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপরই টিপু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন, যা চেয়ারম্যানের ভাষায় “সম্পূর্ণ সাজানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
চেয়ারম্যান ফয়সাল বারী চৌধুরী দাবি করেন—
“এটা অপরাধী চক্রের পুরনো কৌশল। যারা শাসন করে, তাদেরকেই টার্গেট করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের মতে—
“অপরাধীদের দমন করতে গেলে তারা উল্টো অভিযোগ দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে।”
ঘটনাটি এখন এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত শুরু করলে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সম্পাদক হিমেল আহাম্মেদ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত