নিজস্ব প্রতিবেদক | নোয়াখালী
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদরের আংশিক) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন দলের একটি পক্ষের নেতা–কর্মীরা। বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লি উন্নয়ন সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরীর সমর্থকেরা বুধবার বিকেলে কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট বাজারে এ কর্মসূচি পালন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঘোষিত প্রার্থী মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সমর্থকেরা পাল্টা কর্মসূচির প্রস্তুতি নিলেও জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
দলীয় নেতা–কর্মীরা জানান, গত ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে নোয়াখালী-৫ আসনে ব্যবসায়ী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেন বজলুল করিম চৌধুরীর অনুসারীরা।
বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কবিরহাট সরকারি কলেজের সামনে থেকে এসব নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি কবিরহাট বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরফাত হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফসহ স্থানীয় নেতারা। তাঁরা অবিলম্বে ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করে বজলুল করিম চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে বজলুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীর খবরকে বলেন, “ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দল করতে গিয়ে হামলা–মামলা ও জেল–জুলুম সহ্য করেছি। কিন্তু যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, দলের রাজনীতিতে তাঁর কোনো অবদান নেই। তাই নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।”

অন্যদিকে, কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা ধানের শীষের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে ঐক্যবদ্ধ। কিছু ব্যক্তি যে কর্মসূচি পালন করেছেন, তার সঙ্গে সাংগঠনিক বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।”
নোয়াখালী-৫ আসনে প্রার্থী নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেওয়ায় এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

