শাহদাত হোসেন-
নোয়াখালীর খবর-
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবরে জমা দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা না নেওয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিযোগকারীরা।
অভিযোগপত্রে যে ১৬টিরও বেশি অনিয়মের উল্লেখ রয়েছে-
অভিযোগপত্র অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেসব গুরুতর অভিযোগ রয়েছে—
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ফি আদায়
শিক্ষার্থী–অভিভাবকদের অজান্তে রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষা ফি নিয়ে জালিয়াতি
বিদ্যালয়ের আয়–ব্যয়ের হিসাব গোপন রাখা ও নগদ বই ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা
পাঠদান সরঞ্জাম, টেবিল–চেয়ার ও অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ে অনিয়ম ও অতিরিক্ত বিল প্রদান
ভবন নির্মাণ ও মেরামত কাজে দুর্নীতি, ত্রুটিপূর্ণ কাজ এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
সরকারি প্রকল্প (PBGSIসহ) থেকে বরাদ্দকৃত অর্থের অপব্যবহার
শিক্ষক–কর্মচারীদের বেতন–বোনাস বকেয়া রেখে আর্থিক হয়রানি
বিদ্যালয়ের সম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাচারিতা, গাছ কাটা ও সম্পদের হিসাব গোপন
বিভিন্ন খাতে মিলিয়ে কয়েক লাখ টাকার আর্থিক অসঙ্গতি
শিক্ষকদের অভিযোগ—প্রধান শিক্ষকের আচরণ, আর্থিক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিষয়গুলো জানালেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি তাদের।
গণস্বাক্ষরিত অভিযোগেও প্রশাসনের নীরবতা-
অভিযোগপত্রে ৭ জন শিক্ষক–কর্মচারীর স্বাক্ষর থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি গঠন বা প্রত্যক্ষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষক ও অভিযোগকারীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্ষোভ শিক্ষক–অভিভাবক–এলাকাবাসীর-
এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দাবি করেছেন—
এতো গুরুতর অভিযোগ জমা দেওয়ার পরও নীরবতা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক। তারা দ্রুত—
তদন্ত কমিটি গঠন
বিদ্যালয়ের সব আর্থিক লেনদেনের অডিট
দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা পরিবেশ পুনঃস্থাপন
এই পদক্ষেপগুলো নেওয়ার দাবি জানান।
তাদের মতে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হবে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অবস্থান-
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে প্রধান শিক্ষক আবদুল ফারহা মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এবং বিষয়টি এড়িয়ে যান।

