কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে রেফারিসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—মুছাপুর ইউনিয়নের মো. আরাফাত (২৫), মো. আশ্রাফ (১৮), মো. সিয়াম (২১), মো. রিমন (২০), মো. সাকিব (২০), মুন্না (১৮), মো. রাহাত (১৮), আরমান (২৩), সোহাগ (৩০), নুরউদ্দিন (৩৩) এবং রামপুর ইউনিয়নের সাইফুল (২৬), নভেল (২১), শাওন (২২), রেফারি রাশেদ (২৭) ও মুসা মিয়া জিহাদ (৩৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক স্মরণে বাঞ্চারাম স্পোর্টস সোসাইটির উদ্যোগে দিবা-রাত্রি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় অংশ নেয় মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘ ও রামপুর ইউনিয়নের অল স্টার জুনিয়র টিম। খেলার শুরুতেই মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের সমর্থকরা রেফারি রাশেদের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তাকে প্রত্যাহারের দাবি করেন।
একপর্যায়ে একটি গোল ও থ্রো ফাউল নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এ সময় দর্শকসারি থেকে এক সমর্থক মাঠে নেমে প্রতিবাদ করলে দুই দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সংঘর্ষ বাধলে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
মুছাপুর মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের পরিচালক আবু কাওছার মামুন জানান, তাদের আহত দুই জনকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং চার জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি খেলার আয়োজকদের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বলেন, এ ঘটনায় তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে অল স্টার জুনিয়র টিমের পরিচালক মুসা মিয়া দাবি করেন, তাদের টিমের সদস্যরাও আহত হয়েছেন এবং তারাও পাল্টা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
খেলার পরিচালক আবু ছায়েদ নোয়াখালীর খবরকে বলেন, “আমাদের কোনো ব্যর্থতা ছিল না। দর্শকেরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি।”
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম নোয়াখালীর খবরকে বলেন, “বিষয়টি আমাদের জানা আছে। ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সম্পাদক হিমেল আহাম্মেদ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত