চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর খবর-
নোয়াখালীর চাটখিল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. অলি উল্লাহর বিরুদ্ধে এক বিধবা নারীকে হেনস্তা ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তে নেমেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় এ ঘটনার তদন্তের জন্য ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডেকেছেন নোয়াখালী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন।
এর আগে ভুক্তভোগী নারী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে এসআই অলি উল্লাহ, এএসআই নূর এবং পুলিশের তিন সোর্সকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগের বিবরণ-
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ভুক্তভোগীর ছেলেকে সাজানো মাদক মামলায় আটক করে পুলিশ। পরদিন আদালতে পাঠানোর পর তাকে জামিনে আনা হলে, আবারও পুলিশ মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে চাপ দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও নতুন মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে এএসআই নূর ও সোর্স মামুনের মাধ্যমে থানায় ডেকে নেন এসআই অলি উল্লাহ। পরে তিনি তার ছেলেকে মামলার ঝামেলা থেকে বাঁচাতে হলে “একান্তে সময় দেওয়ার” কুপ্রস্তাব দেন। থানায় না গেলে খারাপ পরিণতির হুমকিও দেন।
তিনি বলেন, “থানায় গেলে অলি উল্লাহ আমাকে একটি কক্ষে নিয়ে জড়িয়ে ধরেন, মুখের নেকাব খুলে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন এবং তার বাসায় গিয়ে একান্তে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেন।”
ওই নারী আরও জানান, স্থানীয়ভাবে পুলিশের সহযোগিতায় একাধিক ব্যক্তি মাদকের ব্যবসা করছে, কিন্তু তার ছেলেকে এতে জড়াতে অস্বীকার করায় তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত এসআইয়ের বক্তব্য-
অভিযুক্ত এসআই মো. অলি উল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
“আমি ওই নারীকে চিনি না। তার সঙ্গে এ ধরনের কোনো ঘটনার সম্পর্ক আমার নেই। এ বিষয়ে আমাকে ডাকা হয়েছে, আমি আমার বক্তব্য তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থাপন করব।”
তদন্তের অগ্রগতি-
নোয়াখালী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন,
“অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ পাওয়া গেছে। বাদী-বিবাদীদের ডেকে শুনানি নেওয়া হবে। তদন্ত শেষে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।”

