এম.এ রহিম. কোম্পানিগঞ্জ (নোয়াখালী) বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা, সাবেক আইনমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য। নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই ছিল তার রাজনৈতিক ঘাঁটি।
তার মৃত্যুর পর একই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তার সহধর্মিণী হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ, যিনি পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের কন্যা এবং সাবেক সংসদ সদস্য।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষিত প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম না থাকায় তিনি গভীর ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার পরই হাসনা মওদুদ তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, “আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমান আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নোয়াখালী-৫ আসনে যিনি এত কিছু করেছেন, দলের দুঃসময়ে যিনি দলকে ধরে রেখেছেন, যিনি আপনার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, যিনি আন্তর্জাতিক একজন নেতা, নোয়াখালীর নয়, সারা বাংলাদেশের গর্ব ছিলেন, তিনি আর কেউ নন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
তার সহধর্মিণী পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের কন্যা হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদকে কেন মনোনয়ন দেওয়া হলো না?
যিনি ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের আক্রমণ, মামলা-হামলা ও নির্যাতনের সময়ও নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, তাকে কি মূল্যায়ন করা উচিত ছিল না?
ব্যারিস্টার মওদুদ সাহেব মামলা নিয়ে কবরে গেছেন! যদি এমনভাবে নমিনেশন দেওয়া হয়, দলের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। এখন দেখা যাচ্ছে, যারা দুর্নীতিতে জড়িত, যারা দলের দুঃসময়ে ছিল না, তাদেরই নমিনেশন দেওয়া হচ্ছে। অথচ আপনি বলেছেন, যারা দলের কঠিন সময়ে পাশে ছিল, তাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
হাসনা মওদুদের এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
অনেকেই মন্তব্য করেছেন, দল মওদুদ পরিবারের সঙ্গে অবিচার করেছে, আবার কেউ কেউ মনে করছেন, হাসনা মওদুদের সামনে এখনও রাজনৈতিকভাবে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নোয়াখালীর রাজনীতিতে মওদুদ পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। তবে বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে ঘিরে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করা দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের প্রতিফলন বলেই মনে করছেন তারা।
সম্পাদক হিমেল আহাম্মেদ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত