নোয়াখালীর খবর-
নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে নোয়াখালীকে আলাদা বিভাগ ঘোষণার যৌক্তিকতা, সম্ভাবনা এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বৃহত্তর নোয়াখালীর ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও সামাজিক প্রেক্ষাপটসহ জাতীয় অর্থনীতিতে অঞ্চলের অবদান তুলে ধরেন আন্দোলনের নেতারা। তারা বলেন, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও উন্নয়নের স্বার্থে নোয়াখালীকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা সময়ের দাবি।
কমিশনের বিজ্ঞ সদস্যবৃন্দ নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ধৈর্যের সঙ্গে শোনেন এবং নোয়াখালী বিভাগ গঠনের দাবিতে নীতিগত ঐকমত্য প্রকাশ করেন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই সনদে উল্লিখিত ৬৮ নম্বর ক্রমিকের অধীনে বিভাগ বাস্তবায়নের আগে সরকার যেন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর জনগণের মতামত নিতে গণশুনানি আয়োজন করে—সে বিষয়ে শিগগিরই সরকারকে লিখিত সুপারিশ পাঠানো হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রিয়াজ, সদস্য বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ইফতেখারুজ্জামান, সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দার।
অন্যদিকে, নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন আন্দোলনের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা সমিতির সভাপতি এম এ খান বেলালের নেতৃত্বে সাবেক সচিব ও আন্দোলনের আহ্বায়ক কে এম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তরিক উল্লাহ, সমন্বয়কারী খুরশীদ আলম, নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন মঞ্চের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোজাম্মেল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নে অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।


