✍️ ডা. আয়শা আক্তার।
নোয়াখালীর খবর-
একটি সুস্থ সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার চেষ্টা কোন মায়ের নেই? তবে গর্ভাবস্থায় নারীর মনে নানা শঙ্কা কাজ করে—বিশেষ করে রক্তপাত হলে। অনেকেই ভাবেন, রক্তপাত মানেই গর্ভপাত বা মিসকারেজ। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সব রক্তপাত মিসকারেজের লক্ষণ নয়।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় রক্তপাত হলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। গর্ভধারণের প্রথম দিকে হালকা রক্তপাত অনেক সময় ইমপ্লান্টেশনের কারণে হতে পারে। ভ্রূণ জরায়ুতে প্রবেশ করার সময় এ ধরনের রক্তপাত দেখা দেয়, যা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
থ্রেটেন্ড অ্যাবরশন (Threatened Abortion):
যদি রক্তপাত দেখা দেয় তবে তা সবসময় গর্ভপাতের নির্দেশক নয়। অনেক ক্ষেত্রে থ্রেটেন্ড অ্যাবরশন হলেও পূর্ণ মেয়াদ শেষে সুস্থ সন্তান জন্ম নিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের অবস্থার পরেও প্রায় ৫০–৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ সন্তান জন্ম হয়।
কোন কোন কারণে রক্তপাত হতে পারে:
মায়ের ডায়াবেটিস বা হরমোনের সমস্যা
জরায়ু বা জরায়ুমুখের গঠনগত ত্রুটি
জরায়ুর টিউমার বা পলিপ
বয়স বেশি হলে বা অতিরিক্ত ওজন থাকলে
শারীরিক আঘাত
সংক্রমণ
গর্ভফুলের অস্বাভাবিকতা
ধূমপান বা ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাব
এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা নারী অনেক সময় জরায়ুর সংকোচন, তলপেটে টান, কোমরে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন। এসব উপসর্গ কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ:
রক্তক্ষরণ হলেই ভয় না পেয়ে বিশ্রামে থাকতে হবে এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে বিপদচিহ্ন দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হবে।
সম্পাদক হিমেল আহাম্মেদ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত