হাতিয়া প্রতিনিধি
নোয়াখালীর খবর….
নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শেখ মাহমুদুর রহমানকে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক মোমিন উল্যা রাসেল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, গত রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও’র কক্ষে ঢুকে তাকে অশ্লীল গালিগালাজ, ধাক্কাধাক্কি ও হেনস্তা করা হয়। এসময় জীবন বাঁচাতে ডা. মাহমুদুর রহমান নিজের মোবাইলে ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়— “আমার জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই, অবশ্যই আমি ভিডিও করব।”
ল্যাব নিয়ন্ত্রণের দ্বন্দ্ব
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক মোমিন উল্যা রাসেলসহ কয়েকজন যৌথ মালিকানায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন ওছখালী বাজারে হাতিয়া পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছেন। ওই সেন্টারের আরেক পার্টনার নাজমুল হোসেন রাউফুল অভিযোগ করেন, আরএমও রোগীদের অন্য ল্যাবে রেফার করে আসছিলেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার দুপুরে রোগী অন্য ল্যাবে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাসেল ও রাউফুলসহ তিনজন আরএমও’র কক্ষে ঢুকে তাকে হুমকি ও লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভিডিও ভাইরালের পর কারণ দর্শানোর নোটিশ
ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে জেলা যুবদল বিষয়টি আমলে নেয়। সোমবার দুপুরে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমন নিশ্চিত করেন, অভিযুক্ত মোমিন উল্যা রাসেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে তাকে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
প্রশাসনের বক্তব্য
হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, ভিডিওতে ঘটনাটি স্পষ্ট। ল্যাবের রোগী রেফার করা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।