হিমেল আহাম্মেদ-
নোয়াখালীর খবর
নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা থেকে লুট হওয়া ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র এক বছর পার হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
এদিকে জুলাই-আগস্টে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তার ঘোষণায় বলা হয়— কেউ যদি একটি এলএমজির তথ্য দিতে পারেন তবে তাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
লুণ্ঠনের পরিসংখ্যান-
পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে—
সোনাইমুড়ী থানা থেকে লুণ্ঠিত হয় ৫৮টি অস্ত্র, যার মধ্যে ৪৫টি উদ্ধার করা হয়েছে।
গোলাবারুদ: ৪৭০৯টির মধ্যে উদ্ধার ২০৫০টি
গ্যাস গান: লুণ্ঠিত ৭টির সবগুলো উদ্ধার
অনুদ্ধারকৃত অস্ত্র: ১৩টি (৪টি চায়না রাইফেল, ১টি এসএমজি, ৩টি পিস্তল ও ৫টি শর্টগান)
চাটখিল থানা থেকে লুণ্ঠিত হয় ৫৮টি অস্ত্র, যার মধ্যে ৫১টি উদ্ধার করা হয়েছে।
গোলাবারুদ: ৫৪৯৩টির মধ্যে উদ্ধার ৩০০৩টি
গ্যাস গান: লুণ্ঠিত ৬টির মধ্যে উদ্ধার ৪টি
অনুদ্ধারকৃত অস্ত্র: ৭টি (৩টি চায়না রাইফেল, ১টি পিস্তল ও ৩টি শর্টগান)
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের উদ্বেগ-
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, লুট হওয়া অস্ত্র দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও নানা অপকর্ম চালাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। তারা দাবি করেন, শুধু লুণ্ঠিত অস্ত্র নয়, জেলার সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
পুলিশের অবস্থান-
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন—
“চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানায় লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ৭টি চায়না রাইফেল, একটি এসএমজি, ৪টি পিস্তল, ৮টি শটগান এবং ২টি গ্যাসগান। আমরা এসবসহ অন্যান্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব সব অস্ত্র উদ্ধার করে সঠিক কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
বিজ্ঞাপন

