নিহত রিকশাচালক রফিকুলের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করল নাগরিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিহত রিকশাচালক রফিকুল ইসলামের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন নাগরিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন।
আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) সংগঠনের পরিচালক আল জাবেদ নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের হাতে সহযোগিতার অর্থ তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য জসিম, পাবেল, মন্জু ও আবরার।
সহযোগিতা প্রদানকালে আল জাবেদ বলেন—
“সমাজের বৃত্তবানদের উচিত সবসময় অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। মানবিক দায়িত্ব থেকেই এ উদ্যোগ।”
পরিবারের অভিযোগ: পরিকল্পিত হত্যা
নিহত রফিকুলের পরিবার অভিযোগ করেছে, হত্যার আগের দিন পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি তার কাছে চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রফিকুলকে হুমকি দেওয়া হয়—
“টাকা না দিলে অটোও থাকবে না, তুমিও থাকবে না।”
পরদিনই তিনি খুন হন এবং তার অটোরিকশা ছিনতাই হয়।
ঘটনার পটভূমি
গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশ থেকে রিকশাচালক মো. রফিকুল ইসলাম (৫৫)–এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফজল হক মিয়ার বাড়ির আক্কেল আলীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ২–৩ মাস আগে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেছিলেন। সোমবার দুপুরে খাবার খেয়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে পরিবারের সদস্যরা তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরদিন সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ জানায়, নিহতের গলায় দড়ির দাগ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়েছে।
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে নিহতের পরিবার মরদেহ শনাক্ত করে।
সম্পাদক হিমেল আহাম্মেদ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত