আমাদের যুব সমাজ জাতির আশা ভরসার শেষ কেন্দ্রস্থল। জাতীয় জীবনে যে কোন আপদকালীন সময়ে যুব সমাজ অগ্রণী এবং সাহসী ভূমিকা পালন করেছে।
কালের বির্বতনে আজ সেই যুব সমাজ প্রতিনিয়ত ঢুবে যাচ্ছে অতল সাগরে,মাদকের ছোয়ায়। আজ দেশের ভাগ্যের চাকা পিছনে ঘুরতে শুরু করেছে। জানিনা অদূর ভবিষ্যতে হয়ত গোটা জাতি মাদকের ছোবলে আক্রান্ত হতে পারে।
তাই আমাদের উচিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
যে কথা না বললেই নয় বর্তমানে, ৬৭০০০ হাজার গ্রামের আনাচে কানাচে এক বিষাক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। কোথায় ছুটছে এই যুব সমাজ? তাদের শেষ গন্তব্য কোথায়? হয়ত অকাল মৃত্যু,তার মৃত্যু কি পারে সমাজ, দেশ বা জাতিকে সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশ কে সমৃদ্ধ করতে?
তার মৃত্যু একটি পরিবারে শোকের ছায়া বয়ে আনে।বাবা হারা হয় ছেলে মেয়েরা,মা বাবা হয় সন্তান হারা, আর স্ত্রী হয় স্বামী হারা।মাদক হয়ত যে সেবন করে সে সুখে থাকে।
কিন্তু তার পরিবারের দিকে তাকালে বুঝা যাই যে সুখের পরিবারে কিভাবে দুঃখের আগুন প্রজ্বলিত হয়েছে।বিষাক্ত সাংস্কৃতি পরিমন্ডল,ইয়াবা ও মাদকের ছোয়া, নষ্ট রাজনীতি,দলবাজী,ধর্মের নামে ভন্ডামি,ন্যায়ের নামে অন্যায়,আইনের নামে বেআইনি এবং নগ্নতায় ভরা আধুনিক চলচ্চিত্র, ভোগবাদী ব্যবস্থার সংমিশণে আজ এমন এক প্রকার হাইব্রিড যুব সমাজ তৈরি হচ্ছে আমার দেশে।
তারা শুধু কথা বার্তায়,আধুনিক হেয়ার স্টাইল ও
পোষাকে মানান কিন্তু নীতি নৈতিকথায় ধ্বংসের অতল সাগরে। আর তার ফলস্বরুপ চারদিকে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের এক মারাত্নক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
যে পরিবেশে হারিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময়ী আজকের যুব সমাজ। যুব সমাজ দেশ ও জাতির প্রাণ। সেই প্রাণগুলো নিজের অজান্তে ঝড়ে ফেলছে তাদের ম মূল্যবান জীবন।
যে যুব সমাজ আদিম পৃথিবীকে আধুনিক পৃথিবী রুপান্তরিত করলো, রহস্য উৎঘাটন করছে অজানা জানবার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই যুব সমাজকে জাগানোর পরিবেশ তৈরি করে দিতে আমাদের সমাজ,দেশ ও জাতি বরাবরই ব্যর্থ। তাই আমাদের উচিত নিজে সচেতন হয়ে অপরকে এ বিষয়ে সচেতন করা।
এম.এ রহিম
নির্বাহী সম্পাদক- নোয়াখালীর খবর।
সম্পাদক হিমেল আহাম্মেদ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত